বসতবাড়িতে উল্টে গেল ওভারলোড বালির লরি , মৃত ৩ জন : ব‍্যাপক উত্তেজনা

5th November 2020 11:39 pm বর্ধমান
বসতবাড়িতে উল্টে গেল ওভারলোড বালির লরি , মৃত ৩ জন : ব‍্যাপক উত্তেজনা


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  গৃহস্থের বাড়িতে ওভারলোড বালি বোঝাই লড়ি উল্টে পড়ায় মৃত্যু হল একই পরিবারের ৩ জনের । জখম হয়েছে আরও ১জন ।  মৃতরা সম্পকর্কে মা ছেলে ও মেয়ে। বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জ্যোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েতের মুইদিপুর এলাকায় ।   মৃতরা হলেন সন্ধ্যা বাউরি (৩০), রিঙ্কু বাউরি  (১৪) ও রাহুল বাউরি(১২) । জখম হয়েছে সন্ধ্যা বাউরির স্বামী প্রশান্ত বাউরি ।  মৃত ও জখমরা সকলে মুইদিপুর গ্রামেরই বাসিন্দা । এতগুলি  মানুষের মৃত্যুর ঘটনার খবর জানাজানি হতেই মুইদিপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশের উপরেও জনরোষ আছড়ে পড়ে । পুলিশের গাড়িতেও  ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। কয়কজন পুলিশ কর্মী আহত হন।পরে জনরোষ  এলাকার বালিখাদানেও আছড়ে পড়ে। উত্তেজিত মানুষজন  ওই এলাকার বালিখাদানেও চড়াও হয় ।তারা  বালি খাদানের  অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বল এলাকা সূত্রে খবর । উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠি চার্য করতে । পরে  অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে কোনরকমে বিক্ষুব্ধ মানুষজনকে হঠিয়ে দিয়ে মৃত ও  জখমদের উদ্ধার কাজ শুরু করে । স্থানীয়রা জানিয়েছেন , মুইদিপুর ও সংলগ্ন  এলাকায় অবৈধ কয়েকটি বালি খাদান চলছে । সেই সব বালিখাদান থেকে  দিনে ও রাতে শয়ে শয়ে ট্রাক ও লরিতে বালি লোড হয় । ওভারলোড বালির লরি বাঁধের রাস্তা ধরে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা হয়ে কলকাতা চলে যায় । 
বিগত বেশ কয়েকদিন যাবৎ মুইদিপুর এলাকার বাঁধের রাস্তা দিয়ে ওভারলোড বালির লরির যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষজন বালির লরি আটকে রেখে 
বিক্ষোভও দেখিয়েছেন । স্থানীয়দের অভিযোগ 
যখনই মানুষ প্রতিবাদে সরব হয় তখনই পুলিশ 
গ্রামে পৌছে  ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়ে আটকে রাখা লরি ছাড়ানো করিয়ে দিয়ে দায় সারে । এদিন ওভারলোড বালির লরি নিয়ে মদ্যপ চালক বাঁধের রাস্তা ধরে যাচ্ছিল । এলাকাবাসীর অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায়  লরি চালানোর সময়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায় বাঁধের রাস্তার ধারে থাকা ২টি বাড়ি ভেঙে  দিয়ে উল্টে যায় । এই দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই  একই পরিবারের তিন সদস্যের  মৃত্যু হয় । ১ জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে এলাকা সূত্রে খবর । দুর্ঘটনার পর মদ্যপ চালক পালালেও খালাসি ধরা পড়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন । উত্তেজনা থাকায় রাতে মুইদিপুর এলাকায় বিশাল পুলিশ ও র‍্যাফ বাহিনী মোতায়েন করা হয় ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।